২৯ আগস্ট, ২০২৩

জেলা আওয়ামী লীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলায় একজন আটক

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের  সহ-সভাপতি জিএসএম মিজানুর রহমান সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্বক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফুল হাসান ওরফে মুক্তা (৩৫) নামে এক সন্ত্রাসীকে  আটক করেছে জামালপুর সদর থানার পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐদিন  সন্ধারাতে জামালপুর শহর বাইপাস রোডে চাপাতলা এলাকায় পৌর শহরের মিয়াপাড়ার বাসিন্দা  মৃত আনসার আলীর ছেলে আরিফুল হক মুক্তা (৩৫) সাথে মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুরের বাসিন্দা এক মোটর সাইকেল আরোহীর ধাক্কা লাগা নিয়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এক পর্যায়ে মুক্তা মারমুখি হলে আওয়ামী নেতা জিএসএম মিজান বিষয়টি দেখে উভয়ের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ মেটানোর উভয়কে ধমকদিয়ে থামিয়ে দেন। পরে তিনি ফেরার পথে উৎপেতে থাকা মুক্তাসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা আওয়ামী নেতার উপর এলোপাথারী হামলা চালিয়ে কিলঘুঁষি দিয়ে মারাত্বক রক্তাক্ত করে ফেলেন। এ সময় তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসিরা ছুটে এসে আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের  করা হয়েছে।

জামালপুর সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: শাহনেওয়াজ খান বলেন খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে আরিফুল হক মুক্তা (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,গ্রেফপ্তারকৃত আরিফুল হক মুক্তা একজন ভারাটে সন্ত্রাসী। সে পেশাদার ছিনতাইকারী, চুরিসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে সে জড়িত। তার  বিরুদ্ধে জামালপুর সদর থানাসহ জেলার অন্যন্য থানায় চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডের একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি ছিনন্তাই মামলায় হাজত বাসের পর বেড়িয়ে এসেছে বলে জানান।

একাধিক স্থানীয় সুত্র জানাযায়,মুক্তা এক সময় বিএনপির ছায়াতলে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। পরে সে চুরি ও ছিনাইয়ের মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাসে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে বেড়িয়ে আসেন। এলাকাবাসিরা জানায়,মুক্তার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বর্তমানে ভুমিদস্যুতা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ ব্যাপারে জিএসএম মিজানুর রহমানের  মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।