১৪ আগস্ট, ২০২৩

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাকের্ট নির্মাণ, মাঠ রক্ষার দাবিতে স্থানীয়দের অভিযোগ

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাকের্ট নির্মাণ, মাঠ রক্ষার দাবিতে স্থানীয়দের অভিযোগ

গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের উত্তরপাশের প্রায় ১৫ ফিট প্রস্থ ও ৬৫ ফিট দৈর্ঘ্যরে মার্কেট নির্মাণ করছে কৃর্তপক্ষ।

তবে নির্মাণকাজ বন্ধ করে মাঠ রক্ষার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে সরেজমিনে তদন্ত করেছেন গুরুদাসপুর পৌর ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কর্মকর্তা।

বিদ্যালয় সূত্র বলছে- প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের মতো। অভিভাবকহীন শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার খরচ বহন করতে একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তারই ধারাবাহিকতায় ৬৫ ফিট প্রস্থ ও ১৩০ ফিট দৈর্ঘ্যের মাঠটির উত্তরপাশে আধাপাকা টিনশেড মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পূর্বের সিমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পাকা সড়কের ১৩ ফিট দূর থেকে ১৫ ফিট প্রস্থের মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- মাঠের উত্তরপাশের সীমানা থেকে শুরু করে মাঠের কয়েক ফিট ভিতর পর্যন্ত ওই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। একারণে উত্তরপাশের ফুটবল খেলার গোলপোষ্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে মাঠের দক্ষিণ পাশের পুড়নো একাডেমিক ভবন অপসারণ করায় মাঠের দৈর্ঘ্য বেড়েছে।

গুরুদাসপুর (নাটোর: মাঠের উত্তরপাশে মার্কেট নির্মাণ করছে কর্তৃপক্ষ |—ছবি মুক্ত প্রভাত


এদিকে অভিযোগকারীরা বলেন- মার্কেট নির্মাণ করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ মাঠের উত্তরপাশের গোলপোষ্টটি ভেঙ্গে ফেলেছে। এতে করে মাঠে খেলা-ধুলা করতে পারছেনা কেউ। তারা মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নাজিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. জালাল উদ্দিন জানান, মূলত পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াতে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে মাঠ নষ্ট করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। বরং পুড়নো ভবন অপসারণ করায় দক্ষিণপাশের একাডেমিক ভবনের সামনে মাঠের দৈর্ঘ্য আরো বেড়েছে।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় কিছু মানুষ তাকে পছন্দ করেন না। একারণেই তার বিরুদ্ধে মাঠ নষ্ট করার অভিযোগ এনে কুৎসা রটানো হচ্ছে।

পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানের সার্থে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে অভিযোগের ব্যপারে তিনি জানেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।