কুমিল্লার তিতাস উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগষ্ট) সকালে মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন আরও ২২ হাজার ১০১টি পরিবারকে ২শতক জমিসহ নতুন ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করে দেশের ১২ টি জেলাসহ ১২৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে তিতাস উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
এ উপলক্ষে এদিন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ হলরুমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে তিতাস উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে জমিসহ গৃহপ্রাপ্ত ১১৬টি পরিবারকে জমিসহ গৃহের দলিল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম মোর্শেদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম মোর্শেদ এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক -উর-রহমান, তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সরফরাজ খান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মহসীন ভূঁইয়া, সাতানী ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক সরকার, জগতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদ, জিয়ারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলী আশরাফ, মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক মাস্টারসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
তিতাস উপজেলার কালাচানকান্দি গ্রামের হামিদ মিয়া বলেন, ‘আমার কোনো বসত-ভিটা ছিল না। বাচ্চু মেম্বারের বাড়িতে থাকতাম। আজ আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২ শতক জমিসহ একটি নতুন ঘর পেয়েছি। এমন একটা ঘরে ঘুমানোর কথা জীবনেও চিন্তা করি নাই।’ এদিকে হামিদ মিয়া ছাড়াও উপকারভোগী সকলের চোখে মুখে দেখা গেছে আনন্দের ছাপ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম মোর্শেদ জানান, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে তিতাস উপজেলায় মোট ২৩৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে, তিতাস উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে দিন-রাত কাজ করেছেন উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমসহ স্থানীয় জনগণ।