নাটোরের বড়াইগ্রামে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত স্কুল শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বোরহান উদ্দিন মিঠু। মেহেদী উপজেলার মানিকপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম ও মাজেদা বেগমের এক মাত্র পুত্র এবং মানিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
সে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। ভারতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকার ঘাটতি পড়ায় অপারেশন থমকে আছে তার। ইতোমধ্যে কয়েকটি পত্রিকায় “৫০ হাজার টাকার জন্য চিকিৎসা হচ্ছে না বড়াইগ্রামের মেহেদীর” শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর নাটোর জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে যান মেহেদী হাসানের বাড়িতে এবং তার চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে সময় পঁঞ্চাশ হাজার টাকা তার মাতা মাজেদা বেগমের হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে তাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত মেহেদী হাসানের বাবা-মা দুই সন্তান নিয়ে বড়াল নদীর তীরে খাসজমিতে বসবাস করেন। তার বাবা ভাংড়ি মালের ব্যবসা করে সংসার চালান। ছেলের চিকিৎসায় খরচ করতে গিয়ে তাদের শেষ সম্বল টিনের চালাবিশিষ্ট শয়ন ঘর বিক্রয় করে বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্যালকের বাড়িতে থাকেন তিনি।
সমাজের হৃদয়বান মানুষসহ আত্নীয়স্বজনদের সহায়তা, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক থেকে আরো ৮০ হাজার টাকা ঋণ তুলে মোট তিন লাখ টাকা নিয়ে মেহেদী হাসান ও তার পিতা ভারতের ভেলোরে যান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন তার অপারেশনের জন্য আরো ৫০ হাজার টাকা লাগবে। টাকা জোগাড়ের অপেক্ষায় ভারতের ভেলোরেই অবস্থান করছেন তারা।