২৯ জুলাই, ২০২৩

নাটোরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে এবার যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে যখম

নাটোরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে এবার যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে যখম

নাটোরে এবার যুবলীগকর্মী রুবেল হোসেনকে (২৮) কুপিয়ে যখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে শহরের আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরে রুবেলের ওপর হামলা চালানো হয়। 

গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। আহত রুবেল নাটোর পৌর সদরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য। নাটোর শহরের রেলস্টেশনে তার সবজি দোকান রয়েছে।  

নাটের সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, রুবেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালে শুয়ে আহত রুবেল জানান, সবজি বিক্রির সময় দোকান থেকেই তাকে তুলে নেন এমপি শিমুল গ্রুপের রাতুল, হাবিব ও রাব্বি। এরপর সদর হাসপাতালের সামনে নিয়ে আল-আমিন, রাব্বি, সোহান ও শরিফ হামলা চালান। ‘তুই রমজান গ্রুপ করিস। রমজান তোকে বাঁচাতে পারবে না’ বলে হামলাকারীরা এলাপাথারীভাবে কোপাতে থাকেন। এসময় তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করেন।

জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব বলেন, আহত রুবেল যুবলীগের কর্মী। রাজনীতি করলেও রুবেল কোন বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত নন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই নিরীহ এই কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

দলীয় নেতারা জানান, ৩ মাস আগের হামলার প্রতিশোধ নিতে ২৩ জুলাই দিবাগত রাতে সাংসদ শিমুল সমর্থিত যুবলীগের নেতা মিঠুনকে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করা হয়। ওই অভিযোগে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান ও তার সমথকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।

ওই মামলায় রমজান গ্রুপের ৫ নেতা-কর্মী জেল-হাজতে রয়েছেন। ঘটনার পর দিন শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে শিমুল সমর্থিতরা। মূলত তখন থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রতিশোধ নিতে ওই হামলার ৫ দিনের মাথায় রমজান সমর্থিত রুবেলকে কুপিয়ে যখম করা হয়।

তবে এঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহম্মেদ শনিবার দুপুরে  জানান, যুবলীগকর্মী রুবেল হোসেনকে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। তবে অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফকুল ইসলাম রমজান পুলিশকে দোষারোপ করে বলেন, তার একর্মীকে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক। পুলিশ বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ব্যার্থ। তাই তিনি সদর থানার ওসির প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
তবে নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল  ইসলাম শিমুলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।