সিরাজগঞ্জে ইকো ভলান্টিয়ার্সের বৃক্ষরোপণ

উষ্ণায়ন বৃদ্ধির ফলে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবে ভুগছে দেশ। ফলে নানাবিধ ক্ষতির সঙ্গে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগও। তাই পরিবেশের ভারসাম্য ও জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে ইকো ভলান্টিয়ার্স।

বুধবার (১২ জুলাই) সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় বৃক্ষরোপণ করে ইকো ভলান্টিয়ার্স। এর মধ্যে দিয়ে সংগঠনটি কয়েক ধাপে শতাধিক গাছ রোপণ করেছে।

এ কর্মসূচিটিতে সংগঠনটি ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করে। যার মধ্যে ছিল আম, জলপাই, মেহগুনি, আকাশমনি ইত্যাদি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইকো ভলান্টিয়ার্সের সদস্য অন্তরা ভদ্র, জুলি চৌধুরী, খন্দকার ইব্রাহীম, পুজা রানী, সুজিত শর্মা, জান্নাতুল ফেরদৌস ও সৌহার্দ্য।

ইকো ভলেন্টিয়ার্সের সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, "বৃক্ষ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। বৃক্ষ পরিবেশ দূষণ প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করে এবং তার অনিষ্টিকর প্রভাব থেকে জীবজগতকে রক্ষা করে। আমরা চাই আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগে যেন দেশে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা অনুপ্রাণিত হয়ে বৃক্ষরোপণে আগ্রহী হয়।"

সিরাজগঞ্জে ইকো ভলান্টিয়ার্সের বৃক্ষরোপণ- ছবি মুক্ত প্রভাত

সংগঠনটির আরেক সদস্য সুজিত শর্মা বলেন, "আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা শতাধিক গাছ রোপণ করব। আজকে ২০টি রোপণের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মোট ১০৫টি গাছ রোপণ করতে পেরেছি। আগামীতে আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।"

কর্মসূচিতে থাকা সংগঠনটির আরেক সদস্য খন্দকার ইব্রাহীম বলেন, "আমরা গত কয়েকদিন হলো এই বৃক্ষরোপণ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। শুধু গাছ গুলো রোপণ করেই আমাদের কাজ থেমে থাকবে না। আমাদের পরিকল্পনা আছে আগামী ৬ মাস আমরা রোপণকৃত গাছগুলোর পরিচর্যা করব।"

ইকো ভলেন্টিয়ার্স সিরাজগঞ্জের আহ্বায়ক অন্তরা ভদ্র জানান, "এই কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবেশকে আমরা গাছ উপহার দিয়েছি। যা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও এর ফল পাবে। আমাদের এই কাজে উদ্ভুদ্ধ করেছে আমব্রেলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন।"

উক্ত এলাকার এলাকাবাসীরাও তরুণদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছে এবং বৃক্ষরোপণে সহযোগিতা করেছে।