কূটনীতি
হঠাৎই সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গন। প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিকদের এতো মাতামাতি কেন....?
এরইমধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া জানতে ঢাকা আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জিয়া।
আবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে কিনা— তা যাচােই করতে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মনবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোর বাংলাদেশে আসছেন জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে।
তবে সর্তসাপেক্ষে ঢাকা সফরে আসতে পারেন অর্থনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ। কূটনৈতিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এখন এতো জল্পনা—কল্পনা বিশ্ব অঙ্গনে। তাহলে পেছন ফিরে তাকানো যাক— এমন একটা সময়ছিল যে সময় বাংলাদেশের নির্বাচনে অনিয়ম-দূর্নীতি, রাতের আধাঁরে ব্যালটে সীল মারা এবং প্রকাশ্য দিবালকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা। হ্যাঁ এই কালো অধ্যায় বাংলাদেশের-ই। তখনো বিশ্ব মানচিত্রে সরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এ–তো গেল নির্বাচনের কথা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কাল রাত থেকে শুরু হওয়া নির্মম অধ্যায় তো তখনো শেষ হয়নি। সময় তখন ২০০৪ সাল। দিনপুঞ্জিতে ২১ আগষ্ট। গ্রেনেড ছুঁড়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বাঁচলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ হারান। দেশ শাসনে তখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তখনো বিশ্ব মানচিত্রে সরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী ছিল...?
ইতিহাস বলছে— যুক্তরাষ্ট্রের আক্ষরিক মানবাধিকার কেবল কালো অক্ষরেই সীমাবদ্ধ ছিল। সেসময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এসব পরিকল্পিত ঘটনা প্রবাহে যুক্তরাষ্ট্র মুখে কুলুপ এঁটেছিল...!
তাহলে কী যুক্তরাষ্ট্রের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায়
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আপামর জনতা মুক্তির জন্য লড়াইয়ে নেমে পড়েন। তখনকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের দোসর পাকিস্তানী সেনাদের হাতে বর্বরচিত নির্যাতনের শিকার হয়েছে নিরস্ত্র বাঙালি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঠেকাতে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌ-বহর পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। আজ তারাই কিনা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নানা রূপে হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে।
বিস্তারিত আসছে....