
ছবি- মুক্ত প্রভাত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপ্নবিতান - ইবি পরিসরের আয়োজনে গবেষণার মৌলিক বিষয় শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারী) দুপুর ১:৩০ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৪৩৫ নং কক্ষে এই ওয়ার্কশপ আয়োজিত হয়।
প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে উক্ত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রভাষক ও সমাজকর্মী সাব্বির আহমেদ। এতে কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম।
স্বপ্নবিতান ইবি পরিসরের আহ্বায়ক আরিফা ইসলাম ভাবনা বলেন, স্বপ্নবিতান তারুণ্যের ঐক্যবদ্ধ শক্তির ফলাফল। ঐক্যবদ্ধ তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান প্রজন্মকে জাতির গৌরব ও ঐতিহ্য রক্ষা এবং সামাজিক উৎকর্ষতা অর্জনে স্বপ্নবিতান কাজ করছে। আমাদের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগ গবেষণার মৌলিক বিষয়গুলির উপর অত্যন্ত কার্যকরী একটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করছে যা গবেষণার প্রয়োজনীয় ধারণা গুলো প্রবর্তন করবে, অংশগ্রহণকারীদের স্বচ্ছতা এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে অনুসন্ধান এবং বিশ্লেষণের জগতে চলাচল করতে সহায়তা করবে।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. কাজি মোস্তফা আরিফ বলেন, আমার কাছে মনে হয় যে যতো ভাবতে পারবে, যতো ভুল করবে, সে ততো ভালো গবেষক হতে পারবে। এই সেমিনার থেকে তোমরা গবেষণার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বোঝার পাশাপাশি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পাবে। এই ওয়ার্কশপ আয়োজন করায় স্বপ্নবিতানকে ধন্যবাদ জানাই। মাঝেমধ্যেই এধরণের আয়োজন শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথি সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার কাজ কেমন হবে সেটা নির্ভর করে আমার চিন্তাভাবনার উপর। যদি পাশেরজনের মতো চিন্তা করি তাহলে আল্টিমেটলি আমরা নিজের মতো কিছু করতে পারবোনা। পৃথিবীতে কিছু না কিছু করে যেতে হবে। এ জায়গায় আপনারা গবেষণা করতে পারেন। আপনি মারা গেলেও আপনার সেই গবেষণার ফলাফল থেকে যাবে। আপনারা গবেষণার সাইটগুলো দেখুন, গবেষণার সাথে জড়িতদের সাথে কথা বলুন, যোগাযোগ করুন। তাহলে একটা ভালো ধারণা এবং আইডিয়া পাবেন। নিজের জানার পরিধি বাড়াতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে আত্মউন্নয়নের পাশাপাশি সমাজ উন্নয়ন করতে পারবেন।
কি-নোট স্পিকার অধ্যাপক ড. মো: আরিফুল ইসলাম রিসার্চের ভিত্তি সম্পর্কে আলোচনা করেন। রিসার্চের সংঙ্গায়ন, উদ্দেশ্য, সোশ্যাল রিসার্চ, রিসার্চের উপাদান, তত্ত্ব, পদ্ধতি, রিসার্চে সৃজনশীলতার প্রয়োজনীয়তা সহ রিসার্চ সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, রিসার্চ অর্থ শুধু অথ্য সংগ্রহ বা লিটারেচার রিভিউ ও নয়। সমস্যা আইডেন্টিফাই এবং সেটার সমাধান করা রিসার্সের বিষয়। বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের রিসার্চ করার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। তবে মূল স্লোগান অর্থাৎ রিসার্চের প্রক্রিয়া একই। যাদের প্যাশন রিসার্চ করা, তাদের আজ থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। চেষ্টা করলে কেউ তোমাদের রুখতে পারবেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয়, তোমাদের আগে রিসার্চ সম্পর্কে জানতে হবে, শিখতে হবে। তোমাকে কোয়ালিটিটিভ হতে হবে, এরপর কোয়ান্টিটিটিভ হবে। তোমাদের সামনে সবধরণের সুযোগ রয়েছে, তোমরা সেগুলোকে কাজে লাগাও।