উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আমার ছোট ফুপা (জামাই )শ্রদ্ধেয় জনাব সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের অধিকারী তিনি ও তার পরিবার। মোহাম্মদ আলী ও তার পিতা জনাব মতি সরকার মিলে প্রায় সুদীর্ঘ ৫০ বছর মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন, সেই সাথে তিনি টানা ২০ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এবং বর্তমান জেলার উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। উত্তরাধিকার সূত্রেই তিনি রাজনীতি ও ব্যাপক সম্পদের মালিক ছিলেন।
ব্যক্তি জীবনে তার স্ত্রী (আমার ছোট ফুপু) বেগম রোকেয়া সুগৃহিণী এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। তার পিতা আলহাজ্ব ওমর আলী সরকার ধারাবারিষা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম এবং তার বড় ভাই (আমার পিতা) জনাব মোঃ আবুল কাশেম সরকার (সাবেক সংসদ সদস্য নাটোর- ৪)
মোহাম্মদ চেয়ারম্যান ও বেগম রোকেয়া দম্পতির ৩ সন্তান, বড় ছেলে "রাশেদ" (ভাই) উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, একমাত্র মেয়ে "মুক্তি" (আপা) পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন অফিসার এবং ছোট ছেলে "রনি" ব্যাংক অফিসার।
আজীবন এত পদ পদবী ও ক্ষমতাসীন দলের উপজেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও উত্তরাধিকারী থেকে পাওয়া সম্পদ প্রায় নিঃশেষ এবং তাকে সারাবছর জমি বিক্রি করেই চলতে হয়।(যা এই উপজেলার প্রায় সবাই জানে)
এগুলো বিষয় কেন বললাম?
কারন আমি বিশ্বাস করি, একজন মানুষকে বুঝতে, জানতে ও মূল্যায়নে তার পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে অন্য দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে একজন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমার অত্যন্ত প্রিয় আতিয়ার রহমান বাঁধন। আমাদের প্রায় একই জায়গায় বাড়ি হওয়ায়, সে, তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অধিকাংশই আমার ও আমার পরিবারের অত্যন্ত নিকটজন। সে দীর্ঘদিন সামাজিক কার্যক্রম করে যাচ্ছেন এবং টিনেজ তরুণদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
আরেকজন প্রার্থীর মধ্যে জনাব আহম্মদ আলী মোল্লা (ভাই) নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।এলাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই তার ও তার স্ত্রী কনা আপা যথেষ্ট প্রভাব প্রতিপত্তি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এবং নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি, উপজেলা পরিষদ খুব বেশি কার্যকর না, এই পদে বা চেয়ারে থেকে সমাজে খুব বেশি অবদান রাখা কিংবা উপকার বা অপকার করার সুযোগ সীমিত। কিন্তু এই চেয়ারটি উপজেলাবাসীর জন্য সবচেয়ে সম্মানের। এর ভার অনেক, যা সবাই নিতে পারে না বা যোগ্যতা রাখেন না। সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে যথেষ্ট অবগত।
পরিশেষে, আমি আমার প্রিয় উপজেলাবাসীর সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, ২৯শে "মে" সারাদিন মোটরসাইকেল প্রতিকে ভোট দিন। গুরুদাসপুর উপজেলা বাসির মার্কা মোটরসাইকেল মার্কা (আমি মনে করি, শেষ বয়সে এই সম্মান তার প্রাপ্য, হয়তো এটাই তার শেষ নির্বাচন)
এস এম শহিদুল ইসলাম ( সোহেল)
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট