নাটোরে ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ মুক্ত করতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু- ছবি মুক্ত প্রভাত
নাটোর উপজেলা প্রাণিসম্পদ ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে শনিবার ৩০/৯/২০২৩ইং তারিখে সকাল থেকে ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ মুক্ত করতে ছাতনি ইউনিয়নের আগদিয়া গ্রামে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করেছে ।
ভ্যাকসিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মোস্তফা জামান, ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ এস এম মেহেদী হাসান, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: আসলাম হোসন, ইউপি মেম্বার মো: দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি মো: আব্দুল কাইউম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন ২০১৯-২০ অর্থবছরের পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে সারাদেশে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে মোট ৪ হাজার ২১২জনকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্পের শর্ত ছিল তারা আর কোথাও চাকুরীর আবেদন করতে পারবেন না।
তাদের কোন মাসিক বেতন থাকবে না। গরু ও ছাগলের পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার তাদের ফ্রি ভ্যাক্সিন দিবে এবং তারা সেগুলো প্রয়োগ করলে ভ্যাকসিন প্রতি ৫ টাকা করে পাবেন ইউনিয়ন ভ্যাকসিনেটররা।
গবাদি পশুর রোগ নির্মূলের জন্য ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৩৪৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি তহবিলের অর্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোস্তফা জামান বলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় ছাগল ভেড়ার পিপিআর রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে দেশের সকল জেলায় মোট ২.৫০ কোটি ভোজ পিপিআর টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।
উক্ত টিকা দ্রুত যথা সময়ে সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগের জন্য অধিনস্থ উপজেলা সমূহের রাজস্ব এবং বিভিন্ন প্রকল্পের জনবলের প্রয়োজনে বেসরকারী সংস্থার টিকা প্রদানকারী এবং স্বেচ্ছাসেবীর সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়নে নূন্যতম ৯টি টিকা প্রদান টিম ( প্রতি ওয়ার্ডে ১টি ও প্রতি টিমে ২জন টিকা প্রদান কর্মী) গঠন করা হয়েছে।