উপকূলের অক্সফোর্ড খ্যাত ১০১ এক একরের নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস এখন নবীনদের পদচারণায় মুখরিত।
গত ৩ সেপ্টেম্বরের সেন্ট্রাল ওরিয়েন্টেশনের বেলী ফুলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়ার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের পাঠদান কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে শুরু হয়েছে।
ক্যাম্পাসের প্রশান্তি-চত্বর,শান্তিনীকেতন,ময়নার দ্বীপ, নীলদিঘী সহ সব আড্ডা দেয়ার জায়গায় নবীনদের পদচারণা যেন বেলীফুলের সৌরভের উন্মেষ ঘটাচ্ছে।
ময়নার দ্বীপে শীতের অতিথি পাখি আসার পূর্বেই ক্যাম্পাসের প্রাণ নবীন শিক্ষার্থীরা কোকিল বেশে এসে তাদের কুহু ডাকে সরব করে তুলেছে ১০১ একরের সর্বত্র। তাদের বিচরণ ক্যাম্পাসকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে নরসিংদী থেকে আসা নবীন শিক্ষার্থী সিফাতকে ক্যাম্পাস সম্পর্কে জিগ্যেস করা হলে বলেন, ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি মুক্ত অঙ্গনে নিজেকে দেখার।সে ইচ্ছে পূরণ হলো।আশা করি ক্যাম্পাস লাইফ খুবই উপভোগ্য হবে।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী তামিম ও একই অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন, ক্যাম্পাসের এই সুন্দর পরিবেশের সাথে জীবনকেও সুন্দর করার মত প্রয়োজনীয় উপাদান পাবো বলে আশা করি।
সমাজ বিজ্ঞানের আরেক শিক্ষার্থী রেদোয়ান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের আন্তরিকতা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে। এমন সুন্দর পরিবেশ নিজেকে মেলে ধরার পর্যাপ্ত সুযোগ পাব বলে বিশ্বাস করি।
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মাহমুদা তাবাস্সুম ঐশী জানান, ক্লাস গুলো খুবই প্রাণবন্ত হচ্ছে এবং ফ্যাকাল্টি মেম্বাররাও যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন।পড়াশোনা করার জন সব ফ্যাসিলিটিজ পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে।
তাই মাইগ্রেশান অফ করে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার বিভাগের সাজ্জাদ হোসেনের অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন,আমি চেয়েছিলাম এমন স্নিগ্ধ পরিবেশে আমার উচ্চ শিক্ষা গ্রঃন করতে।ক্যাম্পাসের এমন সুন্দর পরিবেশ আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।
যে প্রত্যাশা নিয়ে নোবিপ্রবিতে নবীনদের আগমন,বিশ্ববিদ্যালয় সে প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে শিক্ষর্থীরা আশাবাদী।