Login





Register

muktoprovat
English Edition
Image

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। শনিবার (০৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। দুপুর দুইটা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে গত ২৬ জুলাই কর্মবিরতি শুরু করে কর্মকর্তারা। আজ শনিবার চতুর্থ দিনের মতো কর্মসূচি করছে তারা। এ ছাড়া দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা জানান, ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নম্বর পেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে, পোষ্য কোটার ক্ষেত্রেও একই শর্ত রাখা হয়েছে। তাহলে কোটাধারীদের কী সুবিধা দেয়া হলো। পোষ্য কোটাধারী হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম যোগ্যতায় ভর্তি নিলে আহামরি কোনো ক্ষতি হবে না।

তথ্য মতে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ন্যুনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।

এতে পরীক্ষায় ন্যুনতম পাশ নম্বর (৩০) প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধি, নৃ-গোষ্ঠী, উপ-জাতি, হরিজন দলিত জনগোষ্ঠী, খেলোয়াড় এবং পোষ্য কোটার শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ পোষ্য কোটা থাকা সত্ত্বেও শর্তপূরণ না করতে পারায় তাদের সন্তানরা বিশেষ সুবিধায় ভর্তি হতে পারছেন না।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, ‘পেয়ে আসা অধিকার, পোষ্য কোটাসহ বিশ্ববিদ্যালয় সকল অনিয়ম, দুর্নীতির বিচার ও আইন সবার জন্য সমান সেটা বিবেচনায় রেখে প্রশাসন পরিচালনা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছি।

কিন্তু আল্টিমেটলি আমরা কোন ফল পাচ্ছি না। দুর্নীতি ও গতিহীনতার ভিতরে প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে। অনেক দুর্নীতির অডিও ফাঁসের পরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না-এতে আমরা সকলে হতবাক হয়েছি।  আমরা সকলে একত্র হয়ে সমস্ত কিছুর বিচার চাচ্ছি।’

তিনি আরও জানান, প্রশাসনের কাছে অনেকবার স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে, কিন্তু বিষয়টি প্রশাসন আমলে নিচ্ছে না। সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রশাসন চলুক এটাই আমাদের চাওয়া। আজকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তবে জরুরি সেবাসমূহ যেমন মেডিকেল, বিদ্যুৎ, ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস-পরীক্ষা ও ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় এর আওতামুক্ত থাকবে।

এছাড়া আজকে দুপুর ২টার সময় ক্যাম্পাসের পরিবহন আটকে তারা কর্মসূচি করবে বলেও জানা গেছে। শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের গাড়ি ব্যতিত আর কোন গাড়ি যাবে না বলে জানান আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানান তারা।