শাহবাগ মোড়ের অবরোধ প্রত্যাহার করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের গ্রেপ্তারের দাবিতে ওই অবরোধ ছি।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই দুই নেতার গ্রেফতার করা না হলে সারাদেশে কঠোর কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ একাংশের নেতারা।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় থেকে ৫টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। এসময় শাহবাগ এলাকায় জমায়েত হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। এতে চারদিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
‘মহানবী (সা.) এর অবমাননাকারী ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকারী ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ ব্যানারে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শাহবাগ মোড় এক ঘণ্টা অবরোধ করার পর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে সারাদেশে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।’ কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই অবরোধ তুলে নেন তারা। এরপর আগের মতো যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এরআগে, মোড়ে একটি মিনি ট্রাকের ওপর মঞ্চ স্থাপন করে বক্তব্য দেন মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।
শাহবাগের বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাবুনগরীকে বলে দিতে চাই এই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
এই বাংলাদেশে ভাস্কর থাকবে, তাদের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি থাকবে। যেই হাত দিয়ে ভাস্কর্য ‘টাচ’ করবেন সেই হাত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ভেঙে দিবে।
তিনি আরো বলেন, মৌলবাদী শক্তি হেফাজতে ইসলাম বলাৎকারের কোন প্রতিবাদ করেনা। কারণ হেফাজতে ইসলাম ধর্ষণকারী ও বলাৎকারকারীদের রক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে।
শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নয়, বাংলাদেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে, বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে, মেহনতি মানুষের ভাস্কর্য বাংলাদেশে থাকবে।
এই বাংলাদেশের দিকে যদি আপনারা আঙ্গুলও তোলেন সেই আঙ্গুল আমরা ভেঙে দেবো। আজকে ধর্মের নামে আপনারা যে গোঁড়ামি শুরু করেছেন, মানুষকে বোকা বানানো শুরু করেছেন সেগুলো বাদ দিন।
মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, আপনারা যে হাত দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে দিতে চেয়েছেন সেই হাত আমরা ভেঙে গুড়িয়ে দেবো।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে কেউ যদি হাত দেয় তাদের হাত আমরা বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেবো। বাংলাদেশের মাটিতে আমরা কখনো পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেবো না।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বিএনপির সাথে জোট করে শাসনক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনাদেরকে জোট করে ভাস্কর্য ভাঙার কথা শুনিনি।
হঠাৎ করে ফ্রান্সের ওই ইস্যুকে নিয়ে যখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন, তখন এই ভাস্কর্য ইস্যুকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
আপনারা ভাস্কর্য এবং মূর্তির পার্থক্য বুঝেন না। আপনারা ধর্মান্ধ, আপনাদের জন্য বাংলাদেশ পিছিয়ে যেতে পারেনা।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাত দফা দাবির মধ্যে আছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকারী মামুনুল হক ও ফয়জুল করীমের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি; দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বাংলাদেশে অবিলম্বে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
সর্বশেষ সংবাদ :
জনপ্রিয় ক্যাটাগরি :
আন্তর্জাতিক‘স্বর্ণ রফতানিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে সরকার’
rasel ২২/১০/২০২০ ৩:৩২:০০ PMকারাবাখে ১১১৯ আর্মেনীয় যোদ্ধা নিহত
rasel ২৯/১০/২০২০ ৫:২৬:২৫ PMতিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি ২১ জনের মৃত্যু
rasel ২০/১০/২০২০ ১০:৩৫:০৮ PMচরম দারিদ্রের মধ্যেই ৮০০ কোটি টাকায় প্রাসাদ কিনলেন মরোক্কোর বাদশা
rasel ২০/১০/২০২০ ১০:৩২:১৭ PMদ্রব্যমূল্য অস্বস্তি বাড়াচ্ছে
rasel ২২/১০/২০২০ ৩:২১:৩৬ PMচরম দারিদ্রের মধ্যেই ৮০০ কোটি টাকায় প্রাসাদ কিনলেন মরোক্কোর বাদশা
rasel ২০/১০/২০২০ ১০:৩২:১৭ PM