Login





Register

muktoprovat
English Edition
Image

হাজারো সংগীতপ্রেমীর অংশগ্রহণে সম্প্রতি শেষ হলো গ্রামীনফোনের আয়োজনে ‘চলো বাংলাদেশ কনসার্ট’।

কনসার্ট-এ প্রিতম ও হাবিব ওয়াহিদ থেকে শুরু করে দেশখ্যাত ব্যান্ড আর্টসেল, ওয়ারফেজসহ ১০টিরও বেশি ব্যান্ড উপস্থিত ছিলো।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে টাইগারদের গর্জনের মতোই ভক্তরা কনসার্টে উচ্চকণ্ঠে গান গেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও দেশ নিয়ে তাদের গর্বের জানান দেন। সুরের মূর্ছনায় সাক্ষী হতে আর্মি স্টেডিয়ামে জড়ো হয় হাজারো সংগীতপ্রেমী। এ সময় সম্মাননা জানানো হয় মার্স রোভার দল, ফ্রিল্যান্সার ও গেমিং কমিউনিটির প্রতি।

ক্রিকেটের বাইরেও চলো বাংলাদেশের উন্মাদনা বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে গ্রামীণফোনের। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান ‘চলো বাংলাদেশ একাদশ’ নামে একটি একাদশ গঠনের ঘোষণা দেন, সুপারস্টার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে যে একাদশে থাকবেন ১০ তরুণ, যারা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন।

গ্রামীণফোনের এ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নবযুগের এমন সব বীরদের সাফল্যগাথা সবার সামনে তুলে ধরা হবে।

বাংলা পপ ও হিপহপের রোমাঞ্চকে নতুন মাত্রা দিতে কনসার্টে একসাথে পারফর্ম করেন রাফা ও হাসান এবং হাবিব ওয়াহিদ ও ব্ল্যাক জ্যাং।

পাশাপাশি, ছিল ক্রিপ্টিক ফেইটের প্রাণবন্ত পারফরমেন্স এবং আর্টসেল ও ওয়ারফেজের সাথে তাদের ট্রিবিউট সেশন, যা দেশের মেটাল সঙ্গীতের সম্ভাবনারই অনন্য নির্দশন।

কনসার্টে হিপহপ থেকে মেটাল, সকল সংগীতপ্রেমীদের জন্য ছিল শিল্পীদের দুর্দান্ত পরিবেশনা।

কনসার্টে গ্রামীণফোন প্রাইমের জন্য নতুন গান গেয়ে শোনান প্রীতম হাসান, অন্যদিকে নেমেসিস ও পান্থ কানাই তাদের সব জনপ্রিয় গান দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন শ্রোতা ও দর্শকদের। 

কনসার্টে বাংলাদেশের সংগীতের অনন্য কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়, যা একইসাথে রক মিউজিশিয়ান ও শ্রোতা-দর্শকদের গভীর আবেগে উদ্বেলিত করে।

স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় শিল্পীদের সমন্বিত পারফরমেন্স দেশের সঙ্গীত পরিসরকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরে, হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের।

গ্রামীণফোনের চলো বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজিত চলো বাংলাদেশ কনসার্টের মাধ্যমে দেশের তরুণরা দেশের বীরদের অর্জন উদযাপনে এবংদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের ভূমিকা উদযাপনের সুযোগ লাভ করে।

এ ক্যাম্পেইনের মধ্যে আরও রয়েছে বিশ্বকাপের ম্যাচ লাইভ স্ট্রিমিং করার মতো আকর্ষণীয় নানা কার্যক্রম।

শাহরুখ হলেন ক্রিকেটার আশরাফুল, কাজলের রূপে সারিকা!

-ছবি সংগৃহিত

Image
প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলতে শুরু করলো ট্রেন। দরজায় দাঁড়ানো রাজের রক্তাক্ত মুখ, আপ্লুত চাহনি। অন্যদিকে তার দিকে ছুটে আসছে সিমরান। কারণ বাবা বলদেব সিং বলেছেন, ‘যা সিমরান, জি লে আপনি জিন্দেগি’। এটি যে বলিউডের কালজয়ী সিনেমা ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র দৃশ্য, তা বাড়তি করে বলা নিষ্প্রয়োজন। কারণ এই সিনেমার প্রায় সব দৃশ্যই মানুষের হৃদয়ে ভাস্মর। তবে ছবির শেষপ্রান্তে ট্রেনের দৃশ্যটি ঘিরে দর্শকের আবেগ-ভালোবাসার মাত্রা কিঞ্চিৎ হলেও বেশি। সেই বিখ্যাত দৃশ্যটি অবতারণা হলো ঢাকার বিজ্ঞাপনচিত্রে। আর তাতে রাজ তথা শাহরুখ খানের ভূমিকায় অভিনয় করলেন ক্রিকেটার আশরাফুল, সিমরান বা কাজলের রূপে হাজির হয়েছেন সারিকা। তবে পার্থক্য হলো, এই বিজ্ঞাপনে রাজ-সিমরানের স্থানপরিবর্তন হয়েছে! অর্থাৎ সারিকা ট্রেনের দরজা থেকে হাত বাড়িয়েছেন, তার দিকে ছুটে গেছেন আশরাফুল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঘটনায় আরও একটি টুইস্ট দেখা গেলো। সিমরানরূপী সারিকার হাত ধরার আগেই রাজের হাতে একটি পানির বোতল ধরিয়ে দেন ফুড ভ্লগার রাফসান। সেই বোতল পেয়ে তৃষ্ণা মেটাতেই মগ্ন হয়ে যান আশরাফুল। 21‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমার সেই দৃশ্যে শাহরুখ খান ও কাজল ক্রিকেটের বাইশ গজের ময়দান ছেড়ে অভিনয়ে আগেও কাজ করেছেন আশরাফুল। তবে এবারের কাজটি একটু বেশি রোমাঞ্চকর ছিলো বলে জানালেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘বিজ্ঞাপনটির কনসেপ্ট আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমি অভিনয় করতে গিয়ে নিজে বেশ রোমাঞ্চিত হয়েছি। কাজটি প্রচারে যাওয়ার পর বেশ ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। এমন একটি ভিন্নরূপে নিজেকে দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।’ ‘ডিডিএলজে’র আবহে বিজ্ঞাপনচিত্রটি বানিয়েছেন মুনতাসির আকিব। গল্প-চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন তৌকির রহমান ও রেহানুর রহমান। ‘ফাইন’ ড্রিংকিং ওয়াটারের জন্যই তাদের ব্যতিক্রম এই কাজ। সম্প্রতি বিজ্ঞাপনচিত্রটি প্রচারে এসেছে।
আশরাফুল সারিকা দিপীকা কাজল শাহরুখ খান বিনোদন
তাদের ফাটাফাটি রোমান্স

-ছবি সংগৃহিত

ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে কথা বললে তো খারাপ লাগে

ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে কথা বললে তো খারাপ লাগে

সাকিবের হাতে থাপ্পর খেয়েছেন অপু

সাকিবের হাতে থাপ্পর খেয়েছেন অপু

Image
ঢাকাই সিনেমার জনপ্র্রিয় জুটি সাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। বাস্তব জীবনেও তারা জুটি বেঁধেছিলেন। তাদের সন্তান আব্রাহাম খান জয় আছে। তবে দুজনের সংসার টেকেনি। কথা ওঠেছে সাকিবের সাথে প্রেম করার সময় অপুকে থাপ্পর মেরেছিলেন সাকিব খান।
সাকিব খানের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মামলা

সাকিব খানের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মামলা

গায়ক নোবেল রিমান্ডে
Image

অভিযোগের পাহাড় জমেছে গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে। অবশেষে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশের এই শিল্পীকে।

শনিবার (২০ মে) তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন।

পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয় আদালতে।

বাংলাদেশ শিল্পী গায়ক নোবেল
...'পাগলীর গানে চোখ ছলছল'

লিমা পাগলী

Image

‘তুমি তো আমায় গিয়েছো ভুলে ওগো বন্ধু...ভুলে যাব আমিও ভেবেছি’ এই গানটিতে লিমা পাগলী যখন টান দিয়েছেন। ষাটোর্ধ তজের আলী তখন অঝরো কাঁদছিলেন। এই প্রবীন একা নন। গ্রামীণ আসরের সব দর্শকের চোখ-ই তখন লোনা জলে ছলছল করছিল।

এখন আর গ্রাম-গঞ্জে যাত্রাপালা হয়না, বসেনা গানের আসরও। শেকড়ের গান আর আসর পেতে শোনা হয়না। তাই যখন-ই গ্রামে গানের আসর বসে তখনই আসরে ছুটে আসেন আফছার আলীরা। তেমন-ই এক আসরের শিল্পী ছিলেন ‘লিমা পাগলী’। এই পাগলীর কাটা বিচ্ছেদে হৃদয় ফালাফালা হচ্ছিল তজের আলীর মতো প্রবীণদের।

‘এই জগতে আমি কারো মনের মতো নয়’ লিমা পাগলীর গানের এই চরণ আক্ষরিক অর্থে যাই হোক না কেন—প্রকৃতপক্ষে সবাই সবার হয়েছে, আবার কেউ কারো হতে পারেনি। লোক ধাঁচের গানগুলো এভাবেই যুগ-যুগান্তর ধরে মাটির কথা বলে এসেছে। বলেছে মানুষের কথা। এখনো বলছে...। তবে আধুনিক সভ্যাতায় এই আঙ্গিক এখন প্রায় ছাপসা। তবুও লোকের মাঝে লোক সংস্কৃতিকে যারা সমৃদ্ধ করছেন, লোক সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তাদের একজন লিমা পাগলী। 

লিমা পাগলী জানালেন, গত ছয় মাসে তিনি দেশজুড়ে প্রায় ৪শ গানের অনুষ্ঠানে বিচ্ছেদ গান করেছেন। তার মতে– গ্রামের সাধারণ মানুষ এখনো লোক গানের ব্যপক ভক্ত। তরুণ থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষই তার গাওয়া বিচ্ছেদ গান শোনেন। 

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে— লিমা পাগলীর বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায়। স্কুল জীবনে গ্রামের একটি লোক গানের আসরে গান গাওয়ার মাধ্যমে তার গানের হাতেখড়ি। এরপর নানা টানাপোড়েনে দীর্ঘদিন গান গাওয়া হয়নি এই শিল্পীর। সবশেষ ২০১৮ সালে এসে নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারো লোক সংস্কৃতির নানা ধাঁচের গান গাওয়া শুরু করেন। চলতি বছরে তিনি ‘গ্লোবাল মিউজিক ও নাগরিক টেলিভিশনের লাইভ শোতে গান করেছেন। তবে বর্তমানে মঞ্চগানে মানুষের কাছে ব্যপক জনপ্রীয় হয়ে উঠেছেন এই শিল্পী।

লিমা পাগলীর তারা জানান, লিমা পাগলী যখন বিচ্ছেদে টান দেন, তখন নিরব নিস্তবদ্ধতা নেমে আসে। মানুষ গানের ভেতর ঢুবে যায়। অনেকেই কাঁদেন। তাদের মতে— লোকগান গেয়ে গ্রামিণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা পাওয়ার নজির খুবই কম। এ ক্ষেত্রে লিমা পাগলীর বিষয়টি ভিন্ন। তার গান হৃদয়ে দাগ কাটে। নিয়ে যায় পুড়নো স্মৃতিতে। এই শিল্পীর গানে মাতাল বনে যান নানা ঢংয়ের মানুষ। মূলত গাওয়ার ভঙ্গিতে বিশেষ কিছু থাকায় তারাই লিমার নামের সাথে পাগলী উপাধী যোগ করেছেন। সেই থেকে লিমা হয়েছেন ‘লিমা পাগলী’। 

সরেজমিনে চলনবিলের তিশীখালি মাজারে লোকগানের আসরে লিমা পাগলী গান শোনান। সেখানে দেখাযায়— সাদা ধবধবে পোশাকের সাথে মাথায় সাদা পাগড়ি পড়া লিমা পাগলী তার মায়াবিনী কন্ঠে সুরের আবেশ ছড়াচ্ছেন। এই আসরে ‘আমারে কেউ ভালোবাসে না, আমার একটাই দুঃখ, একটাই কষ্ট, আঘাতে আঘাতে ব্যাথা বেদনাতে....আমি যে কত কষ্টে আছি ও দরদি আমি তো অনেক সুখে আছি, না জেনে না বুঝে তারে ভালোবাসিলাম’ এমন বিচ্ছেদ গান গাইতে শোনা যায়। চারিদিকে গোলাকার বৃত্তের মতো বসে লিমা পাগলীর গাওয়া এমন কাটা বিচ্ছেদ গভীর আগ্রহভরে শুনছেন তারা। দেশজুড়েই লিমা পাগলীর এমন জনপ্রিয়তা।

লিমা পাগলী বলেন, রুমা সরকার তার গানের গুরু। গুরুভক্তি রেখেই তিনি লোক গান করছেন। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইউটিবে মানুষ তাকে ব্যপকভাবে সারা দিচ্ছেন। তার চেয়ে বেশি সারা পাচ্ছেন মঞ্চ শো-গুলোতে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত তার গান শুনছেন। 

এই শিল্পীর মতে— গান নিয়ে তার ব্যস্ততা বেড়েছে। চলছে টেলিভিশন শো, মৌলিক গানের রেকর্ডিয়। সব ব্যস্ততা ছাপিয়ে তিনি গ্রামের আসরে তৃণমূল মানুষের জন্য লোকগান করতে চান।

Image

হাজারো সংগীতপ্রেমীর অংশগ্রহণে সম্প্রতি শেষ হলো গ্রামীনফোনের আয়োজনে ‘চলো বাংলাদেশ কনসার্ট’।

কনসার্ট-এ প্রিতম ও হাবিব ওয়াহিদ থেকে শুরু করে দেশখ্যাত ব্যান্ড আর্টসেল, ওয়ারফেজসহ ১০টিরও বেশি ব্যান্ড উপস্থিত ছিলো।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে টাইগারদের গর্জনের মতোই ভক্তরা কনসার্টে উচ্চকণ্ঠে গান গেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও দেশ নিয়ে তাদের গর্বের জানান দেন। সুরের মূর্ছনায় সাক্ষী হতে আর্মি স্টেডিয়ামে জড়ো হয় হাজারো সংগীতপ্রেমী। এ সময় সম্মাননা জানানো হয় মার্স রোভার দল, ফ্রিল্যান্সার ও গেমিং কমিউনিটির প্রতি।

ক্রিকেটের বাইরেও চলো বাংলাদেশের উন্মাদনা বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে গ্রামীণফোনের। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান ‘চলো বাংলাদেশ একাদশ’ নামে একটি একাদশ গঠনের ঘোষণা দেন, সুপারস্টার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে যে একাদশে থাকবেন ১০ তরুণ, যারা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন।

গ্রামীণফোনের এ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নবযুগের এমন সব বীরদের সাফল্যগাথা সবার সামনে তুলে ধরা হবে।

বাংলা পপ ও হিপহপের রোমাঞ্চকে নতুন মাত্রা দিতে কনসার্টে একসাথে পারফর্ম করেন রাফা ও হাসান এবং হাবিব ওয়াহিদ ও ব্ল্যাক জ্যাং।

পাশাপাশি, ছিল ক্রিপ্টিক ফেইটের প্রাণবন্ত পারফরমেন্স এবং আর্টসেল ও ওয়ারফেজের সাথে তাদের ট্রিবিউট সেশন, যা দেশের মেটাল সঙ্গীতের সম্ভাবনারই অনন্য নির্দশন।

কনসার্টে হিপহপ থেকে মেটাল, সকল সংগীতপ্রেমীদের জন্য ছিল শিল্পীদের দুর্দান্ত পরিবেশনা।

কনসার্টে গ্রামীণফোন প্রাইমের জন্য নতুন গান গেয়ে শোনান প্রীতম হাসান, অন্যদিকে নেমেসিস ও পান্থ কানাই তাদের সব জনপ্রিয় গান দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন শ্রোতা ও দর্শকদের। 

কনসার্টে বাংলাদেশের সংগীতের অনন্য কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়, যা একইসাথে রক মিউজিশিয়ান ও শ্রোতা-দর্শকদের গভীর আবেগে উদ্বেলিত করে।

স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় শিল্পীদের সমন্বিত পারফরমেন্স দেশের সঙ্গীত পরিসরকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরে, হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের।

গ্রামীণফোনের চলো বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজিত চলো বাংলাদেশ কনসার্টের মাধ্যমে দেশের তরুণরা দেশের বীরদের অর্জন উদযাপনে এবংদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের ভূমিকা উদযাপনের সুযোগ লাভ করে।

এ ক্যাম্পেইনের মধ্যে আরও রয়েছে বিশ্বকাপের ম্যাচ লাইভ স্ট্রিমিং করার মতো আকর্ষণীয় নানা কার্যক্রম।

লন্ডন প্রবাসীকে বিয়ে করলেন ‘শিসকন্যা’ অবন্তি

বিয়ের পিঁড়িতে সিঁথী

Image

জামালপুরের মেয়ে অবন্তি সিঁথি। দর্শকরা তাকে শিসকন্যা নামেই বেশি চেনেন। কারণটা হলো—কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত রিয়্যালিটি শো ‘ সারেগামাপা’তে অংশ নিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন।

সেই শোতে সিঁথি গানের পাশাপাশি শিস বাঁজাতেন। এরপর থেকেই মানুষ তাকে শিসকন্যা হিসেবে বেশি চেনেন। সেসময় মাঝপথে ছিটকে পড়লেও গানের পাশাপাশি তার শিস মানুষকে মুগ্ধ করেছে। সেই থেকে সিঁথি পেয়েছেন ‘শিসকন্যা’ তকমা। 

গায়িকা অবন্তি সিঁথি হুট করেই নিজের বিয়ের ঘোষণা দেন। গতকাল শুক্রবার অবন্তির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

ঢাকার মিরপুরের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অবন্তির কাছের মানুষ এবং দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা বিয়ের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।

যাকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেঁচে নিয়েছেন সিঁথি, তিনি অমিত দে। সিঁথির স্বামী অমিত দে লন্ডন প্রবাসী। সেখানকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।

শখের বসে মাঝে মাঝে গানও করেন সিঁথির স্বামী অমিত দে। মূলত সেই গানের সূত্র ধরেই দুজনের পরিচয়। শেষমেষ বিয়ে।

অবন্তি সিঁথি
Image

প্রত্যন্ত গ্রামে একসময়ের সাধারন মানুষের উপর অর্থ ও ক্ষমতাললুপ গ্রাম্য মাতব্বরদের আধিপত্য, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কুসংস্কারের আগল ভাঙ্গার কাহিনী নিয়ে লেখা ‘দিন বদল’ নাটিকা মঞ্চায়ন করা হলো উল্লাপাড়ায়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার রাতে উপজেলার বেতবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে জাহিদুল ইসলামের লেখা এই নাটকটি মঞ্চে আনে বেতবাড়ী বিপ্লবী নাট্যগোষ্ঠী।

এটি এই নাট্যগোষ্ঠীর ১৯তম প্রযোজনা। নাটকটিতে একদিকে যেমন গ্রাম্য মাতব্বরদের নানা কুটকৌশল, অপকর্ম, পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি করে অবৈধ অর্থ আদায়ের কৌশল উঠে এসেছে।

পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের যুবকেরা গ্রামের স্কুলের শিক্ষকের নেতৃত্বে এসব অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হবার বিষয়টিও অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। অনেকদিন পরে এলাকার নাট্যামোদীরা একটি মঞ্চসফল ও নান্দনিক নাটক উপভোগ করেন।

শাহরিয়ার হোসেন বাবু’র নির্দেশনা ও সঞ্চালনায় ‘দিন বদল’ নাটকে অভিনয় করেছেন, আব্দুল মান্নান, এনামুল হক, দুলাল উদ্দীন খান, শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, গৌতম কুমার, সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, হাবিবুর রহমান, সেরাজুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মন্টু, আব্দুল জব্বার, আব্দুল আলীম, ইমরান হোসেন।

নাটকে গ্রাম্য মাতব্বর ও তার চেলার ভূমিকায় শফিকুল ইসলাম এবং দুলাল উদ্দিনের অসাধারন অভিনয় স্থানীয় দর্শকস্রোতাকে আবেগিক ও ক্ষুব্ধ করেছে। পাশাপাশি স্কুল মাস্টার ও প্রতিবাদী যুবক বাদলের ভূমিকায় আব্দুল মান্নান ও আলমগীর হোসেনের অন্যন্য অভিনয় দর্শকদের হৃদয় জয় করেছে।

ভন্ড কবিরাজের ভূমিকায় শরিফুল ইসলামের অনবদ্য অভিনয় প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে। বস্তুতঃ স্থানীয় নাট্যানুরাগীরা  আগামীতে এমন সুন্দর ও মঞ্চসফল নাটক উপহার দিতে বেতবাড়ী বিপ্লবী নাট্যগোষ্ঠীর কাছে আবেদন রেখেছেন।

Image

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই মামলার বাদী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে সম্প্রতি এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই। অপর দিকে পরীমনির ছোড়া মদের গ্লাসে নাসির উদ্দিন মাহমুদের আঘাত লাগার ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই।

তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার সিজেএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সাহাদাত হোসেন। পিবিআইয়ের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খোদাও প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে চিত্রনায়িকা পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, পরীমনির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল আজ বৃহস্পতিবার। পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে তাঁর কোনো তথ্য জানা নেই।

পরীমনির আইনজীবীর ভাষ্য, নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় বিচার শুরু হয়েছে। পরীমনির দায়ের করা মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। পরীমনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

পরীমনির বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই  ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমনি ও তাঁর সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমনি তাঁকে ডাক দেন। পরে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। 

এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাঁকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি হত্যাচেষ্টার জন্য একটি গ্লাস ছুড়ে মারেন, যা তাঁর মাথায় ও বুকে লাগে বলে মামলায় অভিযোগ করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

২০২১ সালের ৮ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে চিত্রনায়িকা পরীমনি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ওই মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠন করেন। ওই মামলায় পরীমনির সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান।

পরীমনি মামলায় অভিযোগ করেছিলেন, ৮ জুন রাতে তাঁকে কৌশলে ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান তাঁর পূর্বপরিচিত তুহিন নামের একজন।

সেখানে জোর করে তাঁকে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণের এবং হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।

প্রায় তিন মাস তদন্তের পর পরীমনির করা মামলায় আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে সাভার থানা-পুলিশ বলেছিল, বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন পরীমনি।

তাঁকে মারধর ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগপত্রে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম এবং তুহিন সিদ্দিকী ওরফে অমির সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।

পরীমনির মামলার পরই গ্রেপ্তার হন নাসির ও তুহিন। পরে তাঁরা জামিন পান।

এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।