আগুন নেভানোর কাজে জবি রোভার ও বিএনসিসি
আগুন নেভানোর কাজে জবি রোভার ও বিএনসিসি
ইনফিনিক্সের তিন স্মার্টফোন সিরিজ বাজারে, চলছে ছাড়
ছবি সংগৃহিত
আগুন নেভানোর কাজে জবি রোভার ও বিএনসিসি
স্মার্টফোন নেটফিনিক্স
ইনফিনিক্স ফোন
ওয়াই-ফাই ও মোবাইল ডেটা ব্যবহার
রায়হান আইসিটি ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর
শৈশবে দুই হাত হারানো অদম্য তরুণ বাহার উদ্দিন রায়হান আজ যোগ দিলেন আইসিটি পরিবারে Training Coordinator হিসেবে। এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (EDGE) প্রকল্পের অধীনে ১,০০,০০০ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সে।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক আইসিটি পরিবারের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাহার উদ্দিন রায়হানের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেন।
সে বাহার উদ্দিন রায়হানের দুই টি হাত নেই।বাহার উদ্দিন রায়হান যখন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ত তখন তার হাত দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একদিন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে ঢুকে পড়া একটি চড়ুই পাখিকে বাঁচাতে গিয়ে ঝলসে যায় তাঁর হাত ও পায়ের তালু। দীর্ঘ চিকিত্সার পর কেটে ফেলতে হয় দুই হাত।
এভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যান রায়হান। তবু পড়ালেখা থেকে বিচ্যুত হননি। মনোবল আর সাহস ছিল তাঁর সঙ্গী। হাত না থাকলেও মুখ দিয়ে লিখে একের পর এক পাবলিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্ব সাথে এমএ পাস করেন। রায়হানের স্বপ্ন ছিল, পড়াশোনা শেষ করে একটি ভালো চাকরি করবে।আজকে সে আশা পূরণ হল।
রায়হানের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের জহিরপাড়ায়। শিশু বয়সেই হারাতে হয় বাবা বশির আহমদকে। তাঁর আপনজন বলতে আছেন শুধুই মা খালেদা বেগম।
বাহার উদ্দিন রায়হান বলেন,আমার স্বপ্ন ছিল আমি যদি একটা চাকরি পায়,আমার মাকে আমার কাছে নিয়ে যাবো।আজ আমার স্বপ্ন সত্যি হল।তিনি আরো বলেন,আমার মা ছাড়া আমার আর কেউ নাই।আমার মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে। আমি চাই এখন থেকে আমার মায়ের সেবা করতে।
মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্যাফে চেইন সিক্রেট রেসিপি’র মেন্যুতে ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন গ্রামীনফোনের স্টার গ্রাহকরা। প্রতি শুক্রবার দিনব্যাপী এ ছাড় পাওয়া যাবে। এছাড়াও ওইদিনগুলোতে প্রথম ১৫ জন জিপি স্টার গ্রাহক সিক্রেট রেসিপি বাংলাদেশের আউটলেটগুলোতে বিনামূল্যে এক স্লাইস ‘চকলেট ইনডালজেন্স’ কেক উপভোগ করবেন।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ে সিক্রেট রেসিপির ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটে সিক্রেট রেসিপি ও গ্রামীনফোনের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়। এই চুক্তির আওতায় গ্রাহকদের জন্য এসব ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়।
এমওইউ’তে স্বাক্ষর করেন গ্রামীণফোনের প্রিমিয়াম সেগমেন্টের হেড অব মার্কেটিং সাব্বির আহমেদ এবং সিক্রেট রেসিপি বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস কে. এস. এম. মোহিত-উল বারি। ‘ফ্যান্টাস্টিক ফ্রাইডে’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সিক্রেট রেসিপি বাংলাদেশ গ্রামীণফোন গ্রাহকদের বিশেষ সব সুবিধা প্রদান করবে।
এ চুক্তির অধীনে জিপি স্টার গ্রাহকরা (সিলভার, গোল্ড, প্ল্যাটিনাম, প্ল্যাটিনাম প্লাস) সিক্রেট রেসিপির খাবার ও অন্যান্য সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত অফার ও ছাড় সুবিধা উপভোগ করবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার গ্রুপের পরিচালক মুত্তাসিম দাইয়্যান এবং গ্রামীণফোনের হেড অব মার্কেটিং ফারহা নাজ জামান। অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও উপস্থতি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের হেড অব মার্কেটিং ফারহা নাজ জামান বলেন, “আমাদের সিগনেচার ক্যাম্পেইন ‘ফ্যান্টাস্টিক ফ্রাইডে’র সুবিধা অব্যাহত রাখতে সিক্রেট রেসিপির সাথে আমাদের নতুন যাত্রা নিয়ে আমরা আনন্দিত।
এ চুক্তি উদ্ভাবনী পার্টনারশিপের এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে দু’টি প্রতিষ্ঠানই গ্রাহক ও ক্রেতাদের জীবনকে আরও আনন্দময় করে তুলতে একসাথে হয়েছে। আমাদের গ্রাহকরা পছন্দ করবেন এমন আরও সব সেবা নিয়ে আসতে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও বেশি পার্টনারশিপ করার ব্যাপারে আমরা প্রত্যাশী।”
ফেয়ার গ্রুপের পরিচালক মুত্তাসিম দাইয়্যান বলেন, “গ্রামীণফোনের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে জিপি স্টার গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, এ পার্টনারশিপ আমাদের ক্রেতাদের জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমরা একটি ফলপ্রসূ পার্টনারশিপের ব্যাপারে প্রত্যাশী।”
যে তিন কারণে হট ৩০ গেমিং ফোন
বেশ কিছুদিন থেকে বাজারে আছে ইনফিনিক্সের স্মার্টফোন হট ৩০। উদ্ভাবনী ডিজাইন, সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং অন্যান্য স্পেসিফিকেশনের কারণে এরই মধ্যে ফোনটি গ্রাহকদের নজর কেড়েছে।
ব্যবহারকারীরাও অন্যদের এই ফোন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে তিনটি বিশেষ কারণে এই ফোনটি গেমিং ফোন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রথমত, ইনফিনিক্স হট ৩০ ফোনে আছে শক্তিশালী গেমিং প্রসেসর হেলিও জি৮৮। মিডিয়াটেকের এই প্রসেসরের সাহায্যে গেমিং অভিজ্ঞতা নিখুঁত করেছে এই ফোনটি।
কোম্পানিটির তথ্যমতে, জি৮৮ থেকে অ্যাপ এবং অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারে পূর্ণ অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে, যদি ফোনে উপযুক্ত ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। দ্রুতগতির ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে যেখানে গেম চেঞ্জার।
গ্রাহকদের এই পূর্ণ অভিজ্ঞতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইনফিনিক্সের ফোনটিতে আছে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৭৮ ইঞ্চি পারফোরেটেড স্ক্রিন। ১০৮০পি হাই রেজোলিউশনের এই ডিসপ্লের টাচ স্যাম্পলিং রেট ২৭০ হার্জ।
এর ফলে র্যাপিড মাইক্রো-অপারেশনের সময় টাচ রেসপন্সে দারুণ স্বচ্ছতা ও কার্যকরিতা পাওয়া যায়। এর ফলে গেম খেলার জরুরি মুহূর্তে স্মার্টফোন গেমাররা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে পারেন।
স্মার্টফোন গেমিংয়ের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যাটারির সক্ষমতা। এক্ষেত্রে ইনফিনিক্স হট ৩০ অনেক এগিয়ে। এই ফোনে আছে ৫০০ এমএএইচ-এর একটি ব্যাটারি। যা ৫% চার্জেও দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চলে। এ ছাড়াও, ফোনটিতে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি থাকার ফলে মাত্র ৩০ মিনিটেই এটি ৫৫% পর্যন্ত চার্জ তুলতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে গেম খেলার জন্য এবং অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটলে অংশ নেওয়া গেমারদের জন্য হট ৩০ এর ফিচারগুলো বিশেষভাবে সুবিধাজনক। ফোনটির ৪+১২৮ জিবি এবং ৮+১২৮ জিবি-র দু’টি ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া যাচ্ছে রেসিং ব্ল্যাক, সনিক হোয়াইট ও সার্ফিং গ্রিন — এই তিনটি রঙে। শক্তিশালী প্রসেসর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং উন্নত গেমিং প্রযুক্তির হট ৩০ ফোনের দাম শুরু হয়েছে ১৪,৯৯৯ টাকা থেকে।
বিদেশ ভ্রমণে বিমানবন্দরে সহায়তা পাবেন জিপি স্টার গ্রাহকরা।
বিদেশ ভ্রমণকারীদের জন্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ সেবা নিয়ে এসেছে গ্রামীনফোন।
এ সেবার আওতায় জিপিস্টার প্ল্যাটিনাম প্লাস গ্রাহকদেরকে অ্যারাইভাল থেকে ইমিগ্রেশন পর্যন্ত সহায়তা করবেন গ্রামীনফোনের একজন রিলেশনশিপ কর্মকর্তা।
গত ১৬মে থেকে এ সেবা প্রদান শুরু হয়। বিমানবন্দরে মিট অ্যান্ড গ্রিটের প্রতিনিধিরা গ্রাহকদের সাদর অভ্যর্থনা জানাবেন এবং পুরো বিমানবন্দর জুড়ে দিক সংক্রান্ত সহায়তা সহ বিশেষজ্ঞ সেবা প্রদান করবেন।
বিমানবন্দরে ঢোকা, লাগেজ সংগ্রহ করা, সিকিউরিটি স্ক্রিনিং করা, বোর্ডিং কার্ড ও চেকইন কার্যক্রমের মতো ব্যক্তিগত কাজে সহায়তা করবেন, অর্থাৎ অ্যারাইভাল থেকে ইমিগ্রেশন পর্যন্ত; একদম নির্দিষ্ট টার্মিনাল দিয়ে বের হওয়া পর্যন্ত প্রতিবার জিপিস্টার গ্রাহকদের জন্য স্মরণীয় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা হবে।
জিপিস্টার প্ল্যাটিনাম প্লাস গ্রাহকরা বিমানবন্দর ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ সেবার মধ্য দিয়ে ঝামেলাহীন, সুবিধাজনক ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
একজন ডেডিকেটেড রিলেশনশিপ ম্যানেজারের মাধ্যমে এই সেবা গ্রহণ করা যাবে; এবং সেবাটি কেবলমাত্র দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যেকোনো ধরণের জিজ্ঞাসা বা সহায়তার জন্য গ্রাহকদের ১২১ -এ কল অথবা ডেডিকেটেড রিলেশনশিপ ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
একইসাথে, গ্রাহকরা গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন অ্যাপ ‘মাইজিপি’র মাধ্যমে তাদের জিপিস্টার স্ট্যাটাস দেখে নিতে পারেন এবং বিস্তৃত ও আকর্ষণীয় ক্যাটালগ থেকে প্রত্যাশিত সেবার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব মার্কেটিং ও প্রিমিয়াম সেগমেন্ট ফারহা নাজ জামান বলেন, “এবারই প্রথমবারের মতো আমরা বিমানবন্দর ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ সেবা নিয়ে এসেছি।
আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত গ্রাহকদের জন্য প্রিমিয়াম সেবা প্রদানের লক্ষ্য পূরণে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অসাধারণ এই উদ্যোগটি টেলকো খাতে নতুন মাইলফলক তৈরি করবে এবং যাত্রার শুরুতেই স্বাচ্ছন্দ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করছি।”
সাঁথিয়ার মাদরাসা মার্কেটে হেলে পড়া ঝুঁকিপূর্ণ কড়ই গাছ যেন মৃত্যুর ফাঁদ
পাবনার সাঁথিয়ার ঐতিহ্যবাহী গৌরিগ্রাম ফাজিল মাদরাসা মার্কেটের সামনে ঝড়ে হেলে পড়া দুইটি কড়ই গাছ অনেকদিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।যে কোন সময় সামান্য ঝড়ো বাতাসে মার্কেটের উপর পড়ে যেতে পারে ওই গাছগুলি। এতে মাদরাসার মার্কেটের যেমন ক্ষতি হবে তেমনি ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মাদরাসা মার্কেট ও ব্যবসায়ীদের জানমাল রক্ষার্থে গাছ কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এদিকে সামনে ঝড়ো হাওয়ায় গাছগুলো ভেঙ্গে পড়ার আশংকায় রয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে গৌরিগ্রাম ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আক্কাস আলী জানান, ঝড়ে হেলে পড়ে গাছগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য অনুমতির জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন দিয়েছি প্রায় মাসখানেক হলো।
এখন পর্যন্ত কোন অনুমতি পাইনি।এ দিকে সামনে ঝড়বাদলের দিন।এতে আমরা খুব শংকায় রয়েছি। তিনি বলেন, কড়ই গাছ খুবই নরম। ওই গাছের ডালগুলোর হেলে পড়ায় যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।গাছের মোটা ডালসহ ভেঙ্গে পড়লে একদিকে যেমন মাদরাসা মার্কেটের ক্ষতি,অন্যদিকে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ওই মার্কেটের ভিশন টিভির ফ্রিজ শোরুমের মালিক আক্কাস আলী জানান,আমরা সবসময় একটা ভয়ের মধ্যে আছি।যেভাবে ঝড়ে দুলতে থাকে গাছের ডালগুলি তাতে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের আবেদন পেয়েছি। তবে তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অতিদ্রতই এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাজারে আসছে ইনফিনিক্সের নতুন নোট সিরিজ
নতুন নোট সিরিজ বাংলাদেশের বাজারে আনতে যাচ্ছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। নতুন নোট ৩০ সিরিজে থাকবে নোট ৩০ প্রো এবং নোট ৩০। এই মডেলগুলোর একটিতে থাকছে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা।
গত মার্চ মাসে অল-রাউন্ড চার্জিং প্রযুক্তি বাজারে এনেছে ইনফিনিক্স। নতুন নোট সিরিজে এই ফিচার অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছিল ব্র্যান্ডটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, নতুন নোট ৩০ সিরিজে যুক্ত করা হয়েছে অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ।
যা সব ধরনের আবহাওয়ায় এবং পরিস্থিতিতে ফোনের চার্জিং করবে সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই সিরিজে থাকছে ওয়্যারড-ওয়্যারলেস ফাস্ট ও রিভার্স চার্জিং এবং মাল্টি-প্রটোকল চার্জিংয়ের মতো বিভিন্ন মোডে চার্জিংয়ের সুবিধা।
নোট ৩০ প্রো-তে থাকছে ৬৮ ওয়াট ওয়্যারড এবং ১৫ ওয়াট ওয়্যারলেস ফাস্ট চার্জ। প্রথমবারের মতো বাজেটের মধ্যে এই ফিচারটি পাওয়া যাবে ফোনটিতে। পাশাপাশি দ্রুত চার্জ করার সুবিধার্থে নোট ৩০ প্রো-তে আছে ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জ সক্ষমতা। তরুণদের বৈচিত্র্যময় চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি মডেলই খুবই টেকসইভাবে তৈরি করা হয়েছে।
পারফরম্যান্সের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নোট ৩০ সিরিজে শক্তিশালী ৬ ন্যানোমিটারের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। নোট ৩০ প্রো এবং নোট ৩০-তে আছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর। যা ব্যাটারির কার্যকারিতা এবং উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে ।
প্রতিটি মডেলেই আছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে। তবে নোট ৩০ প্রো-তে আছে অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এতে করে ফোনটি হয়ে ওঠবে মোবাইল বিনোদনের যথার্থ সঙ্গী এবং দেবে চমৎকার ব্যবহার অভিজ্ঞতা। সব ধরনের পরিস্থিতিতেই ব্যবহারকারীরা পাবেন রেসপন্সিভ ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লে। নোট ৩০ সিরিজে আরও আছে আল্ট্রা-থিন বেজেল এবং জেবিএল-এর স্টিরিও ডুয়েল স্পিকার।
নোট ৩০ সিরিজে আছে ৮ জিবি+২৫৬ জিবি মেমোরি। যার ফলে বাড়বে মাল্টিটাস্কিং পারফরম্যান্স ও স্টোরেজ সক্ষমতা। সাথে আছে প্রয়োজনের সময় রেম বাড়িয়ে নেওয়ার প্রযুক্তি। এতসব ফিচার ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে, আকর্ষণীয় দামে ইনফিনিক্স হট ৩০ সিরিজ খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে দেশের বাজারে।
"Technoxian-2023" এ "ফাস্টেস্ট লাইন ফলোয়িং (FLF)" বিভাগে ২য় রানার্স আপ পজিশন অর্জন করেছে নিটারের দল। উল্লেখ্য, এই সেগমেন্টে বাংলাদেশ এই প্রথম কোনো পদক ও অবস্থান অর্জন করেছে।
সাভারের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ বা নিটারের ইইই বিভাগের দল জিনার ডায়োড এবছর আন্তর্জাতিক কন্টেস্ট টেকনোজিয়ান-২০২৩ এ অংশ নেয়। সেখানে কৃতিত্বের সাথে সাফল্য অর্জন করে দলটি।
এই বছর, ২০টি বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫০০ টি দল "Technoxian-2023" প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। ৮টি দেশের মোট ১৯৮টি দলের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
নিটারে বেশ আগে থেকে রোবটিক্স নিয়ে কাজ শুরু করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে এবার বাংলাদেশ থেকে এই সেগমেন্টে এসে বাজিমাত করে জিনার ডায়োড নামের এই দলটি। নিটারের ঈর্ষা জাগনীয় সাফল্যে নিটারের শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষকমহল সবাই খুবই উচ্ছ্বসিত।
সকাল ৮টা, রাজধানীর একটি মেট্রো স্টেশনে। বাস, সিএনজি, গাড়ি আর বাইকের ইঞ্জিন বিকট শব্দ করে শহরের পথে চলছে; আর কালো ধোঁয়ার আস্তরণ যেন চারপাশ আচ্ছন্ন করে রেখেছে। বাসস্টপেজে গাড়ির জন্য অপেক্ষারত যাত্রীরা বিষাক্ত সেই ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিচ্ছেন।
ধোঁয়ার সাথে বাতাসে ভেসে ভেসে মিশে যাচ্ছে পোড়া আবর্জনার দুর্গন্ধ, গাড়ির কালো ধোঁয়া আর নানান রকম নাম না জানা অতিক্ষুদ্র পদার্থ।
এটাই আমাদের প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। অতিক্ষুদ্র কণা আর জলীয় বাষ্প, বাতাস দূষণকারী পদার্থের মধ্যে এই দু’টিই রয়েছে; সাধারণত এগুলো বস্তুকণা নামেও পরিচিত। এসবের মধ্যে তুলনামূলক বড় কণাগুলো নাক ও গলায় আটকে গিয়ে মানুষের শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে রক্ষা করে।
তবে সমস্যা হলো, এগুলোর মধ্যে অতিক্ষুদ্র কণাগুলো কোথাও না আটকে ফুসফুসের একদম গভীরে পৌঁছে যেতে পারে। ধুলোময়লা, বিভিন্ন রকম রেণু, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, কলকারখানা বা পোড়া আবর্জনার ধোঁয়া - এর সবই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, অতি ক্ষতিকর এসব ক্ষুদ্রকণা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না, এসব কণা কেবলমাত্র মাইক্রোস্কোপের সাহায্যেই চিহ্নিত করা যায়।
তাই খুব সহজেই বলা যায়, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বায়ুদূষণ সবচেয়ে মারাত্মক পরিবেশগত ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই বায়ুদূষণকে আবার দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়; একটি বাইরের খোলা বাতাসের, আরেকটি ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ। খোলা বাতাস আর ঘরের ভেতরের এই দুই বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৬৭ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে।[1] উচ্চ, মধ্য বা নিম্ন যেকোনো আয়ের দেশ নির্বিশেষে সকল মানুষের ক্ষেত্রেই এই বায়ুদূষণ ক্ষতিকর পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ অনেকক্ষেত্রেই মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের পরিবহণ, জ্বালানি, কৃষি, নগর পরিকল্পনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলোতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ নিয়ে খুব সহজেই কাজ করা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর উদ্ভাবন-নির্ভর উদ্যোগ প্রয়োজন। ২০২০ সালে দেখা যায়, ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৩২ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে, যার মধ্যে ৫ বছর বয়সের নিচে শিশুই রয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার।[2]
নানান ক্ষতিকর উপায়ে ঘরের ভেতর বায়ুদূষণ হতে পারে। রান্না যথার্থভাবে না করা, দূষণকারী জ্বালানি ব্যবহার করা ও ঘরে বা আশপাশে থাকা প্রযুক্তি থেকে সাধারণত ঘরের ভেতরের এই দূষণ হতে পারে। যেসব ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস চলাচল করতে পারে না সেখানকার বাতাসে সাধারণের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি পর্যন্ত অতিক্ষুদ্র কণা থাকতে পারে। বিশেষ করে, নারী ও শিশুদের জন্য এ ধরণের কণার সংস্পর্শে আসা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। আর দিনদিন এ কারণেই কার্যকরভাবে বাতাস পরিশুদ্ধ করতে পারবে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক্ষেত্রে, ফুসফুস ও রক্তসঞ্চালনকে ক্ষুদ্রকণার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এয়ার পিউরিফায়ার একটি অন্যতম কার্যকর ব্যবস্থা হতে পারে। স্যামসাং এয়ার পিউরিফায়ারের মতো বাজারে চমৎকার সব ডিজাইনের এয়ার পিউরিফায়ার রয়েছে, যেগুলো ঘরের ভেতরের সকল দূষিত ক্ষুদ্রকণা ছেঁকে নিয়ে বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে। আপনার ঘরে পোষাপ্রাণি থাকুক বা আপনি অ্যাজমার রোগী হোন, ঘরের ভেতরটা স্বাস্থ্যকর রাখতে চাইলে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা আপনার জন্য সর্বোত্তম উপায় হতে পারে।
আপনার একান্ত জায়গা, যেখানে আপনি ঘুমান, খাওয়া দাওয়া করেন; আপনার বেশিরভাগ সময় যেখানে কাটাতে ভালোবাসেন, সেখানে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকরভাবে থাকাটা খুব জরুরি। বাসা হোক বা অফিস, ঘরের ভেতরটা দূষণমুক্ত রাখা আমাদের নিজেদের জন্যই প্রয়োজনীয়। তাই, ঘরের ভেতরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখার উপায়গুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার এখনই যথার্থ সময়।
পায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের উদ্যোগে ঢাকা, সাভার (আশুলিয়া), চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লাসহ ৮টি বাণিজ্যিক ভবন নিয়ে শুরু হয়েছে ৪ দিনব্যাপী রূপায়ণ কমার্শিয়াল এক্সপো-২০২৩।
রাজধানীর মতিঝিলের রূপায়ণ রেড ক্রিসেন্ট টাওয়ার, সাভারের রূপায়ণ ভুঁইয়া এম্পোরিয়াম, কুমিল্লার রূপায়ণ দেলোয়ার টাওয়ার, সিলেটের রূপায়ণ মোবাশ্বের প্যালেস ও চট্টগ্রামের রূপায়ণ আলিফ মীম টাওয়ারে এই মেলা শুরু হয়েছে।
দুপুরে কেন্দ্রীয় ভাবে রাজধানীর মতিঝিলের রূপায়ণ রেড ক্রিসেন্ট টাওয়ারে এক্সপোর উদ্বোধন করেন রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: আলীনূর রহমান।
এসময় রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: আলীনূর রহমান জানান, দেশের বিভিন্ন প্রাইম লোকেশনে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড।
যা এরই মধ্যেই রুচিশীল গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এসব বাণিজ্যিক ভবন গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই ৪ দিনের এই কমার্শিয়াল এক্সপোর আয়োজন। তিনি আরো জানান, এই এক্সপোতে এসে সরাসরি বুকিং দিলে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড এর হেড আব সেলস দেওয়ান ফয়সাল হক, হেড অব মার্কেটিং সামিউল হাসান, এবং ব্র্যান্ড এন্ড মার্কেটিং এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, জনাব মো: রেজাউল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
একযোগে ঢাকার মতিঝিল, সাভার, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রামে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের উদ্যোগে শুরু হওয়া চারদিনের কমার্শিয়াল এক্সপো চলবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদারিত্বে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ লার্নিং প্ল্যাটফর্ম জিপি অ্যাকাডেমি।
বর্তমানের কর্মব্যস্ত বিশ্বে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সকলকে প্রায়শই নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়, এক্ষেত্রে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি।
এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে, ১৫ অক্টোবর রাজধানীর জিপিহাউজে আয়োজিত ‘মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন অধিকার’ শীর্ষক আয়োজনটিতে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়, যেখানে জিপি অ্যাকাডেমির প্রায় একশ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি; জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. মোহিত কামাল; এবং ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জয়শ্রী জামানসহ স্বনামধন্য অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ; জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা রহমান; এবং গ্রামীণফোনের হেড অব স্ট্র্যাটেজিক প্রজেক্টস এন্ড পার্টনারশিপস রাসনা হাসান সহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বক্তাগণ নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অভিজ্ঞ পেশাদারদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও পরামর্শে আয়োজনে অংশগ্রহণকারী তরুণরা উপকৃত হন এবং বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুপ্রেরণা লাভ করেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বারোপ করে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি বলেন, “আমাদের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাই উঠে এসেছে জিপি অ্যাকাডেমি ও ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে।
জাতি হিসেবে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করাসহ তরুণদের সার্বিক উন্নয়ন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা অপরিহার্য।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি; এক্ষেত্রে আমরা জানি, আমাদের তরুণ জনসংখ্যাকে দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সুস্থ ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার জন্য গ্রামীণফোনের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।”
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, “ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রয়েছে গ্রামীণফোন, সেই সাথে কিশোর ও তরুণদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল পরিসর নিশ্চিতেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শিক্ষা ও সম্ভাবনার অনুসন্ধানের প্রশ্নে অনলাইন জগত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম, যেক্ষেত্রে ডিজিটাল সক্ষমতা গঠনে শিশু কিশোর ও অভিভাবকদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি আমরা।
মানসিক সুস্বাস্থ্য সফল ভবিষ্যৎ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত, আর তাই মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপনের মাধ্যমে এই বার্তাটি সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা ও একে অগ্রাধিকার দেয়ার লক্ষ্যে ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করছে গ্রামীণফোন।”
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, “পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের চিন্তা সহ নানা কারণে আমরা এখন তরুণদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও হতাশা দেখতে পাই, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
আমরা তরুণদের মাঝে ইতিবাচকতার বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, শত অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও প্রাণবন্ত থাকার সাহস যোগাতে চাই, কারণ এটিই তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।
আমি গ্রামীণফোন ও ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই চমৎকার এই আয়োজনের জন্য।
আগামীর নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তরুণদের মাঝে যে আত্মবিশ্বাস থাকা প্রয়োজন, নিয়মিত এমন আরো আয়োজনের মাধ্যমে তা অর্জন করা সম্ভব”।
জিপি অ্যাকাডেমি একটি উন্মুক্ত আপস্কিলিং প্ল্যাটফর্ম, যার সাথে যুক্ত রয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
রূপান্তরমূলক দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগের মাধ্যমে তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তোলার লক্ষ্যে এইটা তৈরি করা হয়েছে।
তরুণদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করা এবং পেশাদারদের মধ্যে কার্যকরী আন্তসম্পর্ক গড়ে তোলাই জিপি অ্যাকাডেমির লক্ষ্য।
আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে মেয়েদের অমিত সম্ভাবনা ও সক্ষমতার উপযাপনে নিজেদের বৈশ্বিক সাসটেইনিবিলিটি অংশীদার প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।
নেতৃত্ব দান এবং বিভিন্ন শিল্পখাত সম্পর্কে গভীরভাবে জানার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের অনুপ্রাণিত করে তোলাই ছিল এ উদ্যোগ গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য।
অনুপ্রেরণাদায়ক এ আয়োজনের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপিহাউজে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রতীকী দায়িত্ব পালনের সুযোগ পায় ঢাকার উপকণ্ঠ থেকে উঠে আসা ১৭ বছর বয়সী কিশোরী মালেকা।
একদিনের জন্য গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানের পদে প্রতীকী দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে দেশের হাজারো কিশোরী ও তরুণীর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা আর উচ্চাকাঙ্খার প্রতীক হয়ে ওঠেন মালেকা।
অনুষ্ঠানে ইয়াসির আজমান মালেকাকে স্বাগত জানান এবং গ্রামীণফোনের সিনিয়র লিডারশিপ টিমের অংশ করে নেন। পাশাপাশি, টেলিযোগাযোগ খাত সম্পর্কে গভীরভাবে জানা, প্রযুক্তি বিশ্বে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন কীভাবে কাজ করে তা বোঝা এবং গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন-এর কাছ থেকে ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জনে পরামর্শ গ্রহণের অনন্য সুযোগ পান মালেকা।
বিশ্বব্যাপী প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দেশজুড়ে ব্যবসা, গণমাধ্যম, প্রযুক্তি ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে নারীদের অমিত সম্ভাবনার উদযাপন এবং স্বীকৃতি দেওয়াই এ ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, “আমাদের অংশীদার প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় গার্লস টেকওভার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাটি দারুণ ছিল।
আমরা বিশ্বাস করি, লৈঙ্গিক পরিচয় কখনওই সাফল্যের পথে বাধা হওয়া উচিত নয় এবং এ ব্যাপারে সচেতনতা ও ইতিবাচকতা তৈরিতে এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমরা ভূমিকা রাখতে আগ্রহী, যাতে নারীরা এগিয়ে যেতে পারেন এবং সক্ষমতা অনুযায়ী নেতৃত্বদায়ক অবস্থান অর্জন করতে পারেন। এ ধরনের উদ্যোগ ইতিবাচক আলোচনার সুযোগ তৈরি করে এবং পরিবর্তন বয়ে আনে।”
গ্রামীণফোনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব গ্রহণের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত মালেকা বলেন, “নতুন এ দায়িত্ব গ্রহণের অভিজ্ঞতা আমার আত্মবিশ্বাস এবং জ্ঞান বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি আমার কমিউনিটির অন্য মেয়েদের আমার অভিজ্ঞতা এবং কী শিখলাম তা জানাবো, যাতে তারাও সমাজের শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থানের উচ্চাকাঙ্খা ধরে রাখে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত এই অনন্য অভিজ্ঞতার অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত এবং সম্মানিত। আমাদের অবশ্যই এই বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে যে, বিশ্বকে নেতৃত্বদানের, উদ্ভাবনের এবং ইতিবাচক পরিবর্তন তৈরির পূর্ণ সম্ভাবনা আমাদের মধ্যে রয়েছে।”
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (পিআইবি) পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ইনফ্লুয়েন্সিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইনের পরিচালক নিশাত সুলতানা বলেন, “গার্লস টেকওভারের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের নেতৃত্বের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখি এবং একসাথে আমরা নতুন করে ভবিষ্যৎ রচনা করছি।
আসুন, আমরা তাদের সমর্থন দেই, তাদের প্রত্যাশা ও আওয়াজকে আরও জোরালো করি’ কেননা, যখন মেয়েরা নেতৃত্ব দেয়, তখন গোটা বিশ্ব সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। আসুন, আমরা প্রতিটি মেয়ের সীমাহীন সম্ভাবনাকে উদযাপন করি এবং এমন একটি বিশ্ব তৈরিতে একসাথে কাজ করি, যেখানে তারা উন্নতি করতে পারে, নেতৃত্ব দিতে পারে এবং অনুপ্রাণিত করতে পারে।”
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে গ্রামীণফোন। একই প্রতিশ্রুতি তাদের অভ্যন্তরীণ কাজের ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হয় – প্রতিষ্ঠানটি লিঙ্গ ভারসাম্য নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
একটি কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা করে – কার্যকরী পরিকল্পনায় গুরুত্বারোপ করে, বিস্তৃতভাবে নারী কর্মী নিয়োগ দেয়; পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনায় নারী কর্মীদের বিকাশে নেক্সট বিজনেস লিডারস, প্ল্যাটফর্ম শি এবং জিপি অ্যাকাডেমির মতো প্রোগ্রাম আয়োজন করে।
প্রবাসীদের যোগাযোগ সহজীকরণ থেকে শুরু করে , সরকারের ৩৩৩ হেল্পলাইনের সাথে সংযুক্তি; বছরজুড়ে এমনি নানাবিধ সামাজিক সেবামূলক কাজ চালিয়ে গেছে বিশ্বের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইমো। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠানটিকে এবার ‘স্যোশাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভুষিত করলো গুগল।
সম্প্রতি গুগলের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে (#অ্যাপসামিট২০২৩) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে গুগল। যেখানে স্যোশাল ইম্প্যাক্ট ক্যাটাগরিতে ইমোকে এই পার্টনার রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
দূরত্ব ও সীমানার বাধা পেরিয়ে ব্যবহারীদের সংযুক্ত রাখার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে ইমো; পাশাপাশি, ব্র্যান্ডটি সমাজের উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ৩৩৩ হেল্পলাইন চ্যানেল, ইমো হিরো স্টোরি শর্ট-ফিল্ম, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য সহায়তা এবং বন্যা ত্রাণসহ মানুষের সেবার লক্ষ্যে ইমোর গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ।
এছাড়াও, সকলের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে জাগো ফাউন্ডেশনকে শিক্ষামূলক স্টেশনারি প্রদান করেছে ইমো, যা বছরজুড়ে ১২শ’ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তা করছে। এসব সামাজিক উদ্যোগগুলো দেশে ও বাইরে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
দেশ ও সমাজের উন্নতি ও কল্যাণের লক্ষ্যে ইমোর অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই ‘সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড।’
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে সম্প্রতি ‘মিডিয়া প্রিভিউ ইভেন্ট ২০২৪’ এর আয়োজন করেছে বিশ্বব্যাপী দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জনকারী স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। অনুষ্ঠানে রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজে একটি ফ্ল্যাগশিপ পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইভেন্টে পেরিস্কোপ টেলিফটো প্রযুক্তি এবং বিলাসবহুল ঘড়ির ডিজাইনের ফিচার সমৃদ্ধ রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজটি অংশগ্রহণকারীদের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। চলতি বছর থেকে রিব্র্যান্ডিংয়ের ঘোষণার পর রিয়েলমি প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে বাজারে আনলো রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজটি।
রিয়েলমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্কাই লি সম্প্রতি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে রিয়েলমি প্রেমীদের জন্য একটি খোলা চিঠি লেখেন। এ চিঠিতে তিনি ২০২৪ সালকে রিব্র্যান্ডিংয়ের বছর হিসেবে ঘোষণা করেন। এজন্য ‘মেক ইট রিয়েল’ শীর্ষক একটি নতুন স্লোগানও ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে এমন একটি টেক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে যা তরুণ ব্যবহারকারীদের টেক চাহিদা আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করার পাশাপাশি তা পূরণেও কাজ করবে।
নতুন ব্র্যান্ড পজিশনিং এর মাধ্যমে, রিয়েলমির এ নম্বর সিরিজ নেক্সট-জেন ইমেজিং এর ভবিষ্যত হিসেবে নিজের অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করবে। রিব্র্যান্ডিং এর পর রিয়েলমি’র আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই মিডিয়া ইভেন্টকে।
রিয়েলমি’র করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৩ গুণ বা তারও বেশি টেলিফটো লেন্স পছন্দ করে, যা মূলত ফ্ল্যাগশিপ ফোনেই ব্যবহার করা হয়। তাই তরুণ প্রজন্মের পছন্দের কথা বিবেচনা করে, রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজটিতে একটি ফ্ল্যাগশিপ-এক্সক্লুসিভ পেরিস্কোপ টেলিফটো প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।
রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজটি রাতে ছবি তোলার সময় আশেপাশের উজ্জ্বলতা কমিয়ে সাবজেক্টকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। স্বাভাবিক ছবি তোলার জন্য ৭১ এমএম গোল্ডেন ফোকাল লেংথের পাশাপাশি এতে রয়েছে একটি ৩ গুণ পোট্টেট মোড। ডিভাইসটিতে আরও রয়েছে অসাধারণ টেলিফটো সক্ষমতা, যা গ্রাহককে দিবে ১২০ গুণ পর্যন্ত ডিজিটাল জুমের অনন্য অভিজ্ঞতা।
স্মার্টফোনের বৃহত্তম পেরিস্কোপ টেলিফটো সেন্সর রয়েছে রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজটিতে। ওভি৬৪বি ফ্ল্যাগশিপ সেন্সর সমৃদ্ধ এই স্মার্টফোন ডিভাইসটি প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোকে পেছনে ফেলে অন্যান্য শীর্ষ-স্তরের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের সঙ্গে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আইফোন ১৫ প্রো- এর টেলিফটো সেন্সরের চাইতে দ্বিগুণ বড় এ ডিভাইসের আধা ইঞ্চি সাইজের টেলিফটো সেন্সরটি।
এজন্য ডিভাইসটির বড় অ্যাপারচার ও লাইট ইনটেককে ধন্যবাদ দিতেই হয়। কেননা রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজের টেলিফটো লেন্সটির আলো-সংবেদনশীলতা আইফোন ১৫ প্রো- এর তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি।
রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজের মূল ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে সনি আইএমএক্স৮৯০ ওআইএস ফিচার, যা রাতের ফটোগ্রাফির আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই ক্যামেরায় রয়েছে একটি ১/১.৫৬ ইঞ্চির বৃহৎ সেন্সর, একটি ২৪ এমএম এর সমপরিমাণ ফোকাল লেংথ, এবং একটি বিস্তৃত এফ/১.৮ অ্যাপারচার। ফলে রাতে ফটোগ্রাফির জন্য একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে এ ডিভাইস।
এর ওআইএস ফিচারটি দারুণ ভিডিও রেকর্ডিংয়ের পাশাপাশি সফলভাবে অনিন্দ্য সুন্দর ছবি তোলার হারও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজে রয়েছে একটি পেরিস্কোপ টেলিফটো ও আল্ট্রা ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা।
এতে আছে ০.৬ গুণ, ১ গুণ, ২ গুণ, ৩ গুণ ও ৬ গুণ লসলেস জুমের সুবিধা, যার মাধ্যমে ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের তুলনায় একটি ফুল-ফোকাল-লেংথ লসলেস জুম ফটোগ্রাফির এক্সপেরিয়েন্স পাবেন রিয়েলমি প্রেমীরা।
কোয়ালকমের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে, মাস্টারশট অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এর ইমেজ প্রসেসিং বৃদ্ধি করেছে রিয়েলমি। এ সেগমেন্টে রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজই প্রথম ও একমাত্র স্মার্টফোন, যেটি টপ ক্ল্যারিটি, ডায়নামিক রেঞ্জ এবং সিনেমাটিক পোট্টেটে রিয়েলিজম নিশ্চিত করার মাধ্যমে আরএডব্লিউ ডোমেইন প্রসেস করে।
তরুণ স্মার্টফোন গ্রাহকদের অত্যাধুনিক ইমেজিং এক্সপেরিয়েন্স এবং পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদান করে রিয়েলমি’র এ নম্বর সিরিজ। আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল ঘড়ি ডিজাইন মাস্টার অলিভিয়ার সাভেও- এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে, রিয়েলমি ১২ প্রো সিরিজটিকে একটি নান্দনিক রূপ দিয়েছে স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
ডিভাইসের এ অনন্য ডিজাইন করতে অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে প্রাচীনকালে ব্যবহৃত ঘড়ি থেকে এবং এর শৈল্পিক নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির অনন্য সব ফিচার।
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের এক বছরেরও বেশি অপেক্ষার পালা ফুরিয়েছে; অবশেষে গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ২০২৪ -এ স্যামসাংয়ের সর্বশেষ উদ্ভাবনগুলো উন্মোচন করা হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসেতে অনুষ্ঠিত আকর্ষণীয় এই আয়োজন থেকে স্যামসাংয়ের সর্বাধুনিক ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস এস২৪ সহ আরও অনেক কিছু নিয়ে আসার ঘোষণা দেয়া হয়।
ফোন যেভাবে সবসময় ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেখান থেকে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি সহ অনুষ্ঠানে স্যামসাংয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ – গ্যালাক্সি এআই উন্মোচন করা হয়।
গ্যালাক্সি আনপ্যাকডের আগের আয়োজনগুলোর মতো এবারও বছরের সেরা আকর্ষণ ছিলো সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে সেরা ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস গ্যালাক্সি এস২৪, এস২৪+ ও এস২৪ আলট্রা। আগের ফোনগুলোর চেয়ে দ্রুত ও অনেক বেশি কার্যকর পারফরমেন্সের নিশ্চয়তা দিতে এবারের এস২৪ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে আরও উন্নত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার।
স্যামসাং’র ফ্ল্যাগশিপ গ্যালাক্সি এস২৪ আলট্রায় ফ্ল্যাট ডিসপ্লে ও টাইটানিয়াম ফ্রেমের পাশাপাশি, নক্ষত্ররাজির ছবিও জুম করে নিখুঁতভাবে তুলতে সক্ষম এমন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে! একইসাথে, এ বছর ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের জন্য স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ চিপসেট আপগ্রেড করেছে স্যামসাং। ডিভাইসগুলো মার্বেল গ্রে, কোবাল্ট ভায়োলেট, অনিক্স ব্ল্যাক, অ্যাম্বার ইয়েলো, অরেঞ্জ, লাইট ব্লু ও লাইট গ্রিন রঙে পাওয়া যাবে।
নতুন গ্যালাক্সি ডিভাইসগুলোতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে বিষয়টি নিয়ে আসা হচ্ছে তা হলো- গ্যালাক্সি এআই। নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনের পাশাপাশি এটি নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ, সৃষ্টিশীলতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তোলা এবং সীমাহীন সৃজনশীলতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
গ্যালাক্সি এআইয়ে ফিচার হিসেবে রয়েছে এআই ওয়ালপেপার, রিয়েল-টাইম ফোন কল ট্রান্সলেশন, ম্যাজিক এডিটরের মতো ফটো এনহান্সমেন্ট টুল, এআই-সমৃদ্ধ জুম-ইন, কি-বোর্ডে পাঁচটি কনভার্সেশনাল টোন এবং এআই-চালিত নোটস অ্যাপ। এস২৪ ডিভাইসের মাধ্যমে জনসমক্ষে এ সিস্টেমটি উন্মোচন করেছে স্যামসাং।
এছাড়াও স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ সিরিজের ডিভাইসগুলির জন্য ৭ বছরের নিরাপত্তা আপডেট এবং ৭ম জেনারেশনের ওএস আপগ্রেড ঘোষণা করেছে।
উপরন্তু, দর্শকরা অনুষ্ঠানে স্যামসাংয়ের নতুন গ্যালাক্সি রিং ফিটনেস ট্র্যাকারের একটি ঝলক ও দেখতে পেয়েছেন।
নতুন সব সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে এমন রূপান্তরযোগ্য প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ২০২৪। অনুষ্ঠানটিতে উদ্ভাবনের বিশ্বে স্বাগত জানানো হয় বর্তমানের প্রযুক্তিপ্রেমীদের।
গ্যালাক্সি এস২৪, গ্যালাক্সি এস২৪ প্লাস এবং গ্যালাক্সি এস২৪ আলট্রা -এর দাম যথাক্রমে ৭৯৯, ৯৯৯ এবং ১,২৯৯ ডলার।
বাংলাদেশে শীঘ্রই প্রি-অর্ডার শুরু হতে যাচ্ছে!